Sebak DebSarma
#মালদহ: মানিকচকে গঙ্গায় ভেসেল দুর্ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। ডুবে থাকা লরি গুলি জল থেকে তোলা বা উদ্ধারকার্যকে ছাপিয়ে গিয়ে অন্যমাত্রা পেল দুর্ঘটনার দায় নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা। সোমবার দুর্ঘটনার পর রাতেই এলাকায় পৌঁছন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। নিখোঁজদের উদ্ধারের দাবি করেন সুজন। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার দাবি তোলেন সিপিএম নেতা। আর মঙ্গলবার সকালে এলাকায় গিয়ে দুর্ঘটনার দায় নিয়ে প্রশাসনকে একহাত নেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনিক ত্রুটিকে দায়ী করে অভিযোগ করেন, নিয়মবিধি না মেনে রাতের অন্ধকারে পরিবহন চলছে। কোনও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি নেই। প্রশাসনিক বিফলতার কারণ কারণেই এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। যাঁরা দায়ী তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গঙ্গাবক্ষে ওভারলোডিং হচ্ছে কিনা তার কোনও নজরদারি নেই। ডুবে যাওয়া গাড়ির নম্বর কত, গাড়ির মালিক কে, এমনকি চালকদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে নেই। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর ভেসেল টিকে কেন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। ঘটনা মর্মান্তিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদিও, বিজেপি নেত্রীর তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল। তিনি পাল্টা বলেন, প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, নিছক দুর্ঘটনা হয়েছে। এমন ঘটনা অতীতে কোনদিন হয়নি। ঝাড়খন্ড- বাংলার মধ্যে যোগসূত্র এই গঙ্গার ঘাট। ভেসেল ওভারলোডিং ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে সভাধিপতি বলেন, দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি তলিয়ে যাওয়া লরি গুলি জল থেকে তোলার চেষ্টা হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন জেলা সভাধিপতি।